


AP-8047
কৃষি
বিকোপেন্ডি ৩৩ ইসি একটি নতুন প্রজন্মের স্পর্শক ও সিলেক্টিভ আগাছানাশক। ইহা জিন প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত আগাছানাশক যা ধান ও আলু ক্ষেতের বিস্তৃত পরিসরে আগাছা দমন, বংশ বিস্তার ও বৃদ্ধিতে বাধা প্রদানে বিশেষভাবে কার্যকর। বিকোপেন্ডি ৩৩ ইসি এর প্রতি লিটারে ৩৩০ গ্রাম পেন্ডিমিথালিন সক্রিয় উপাদান বিদ্যমান।
ফসল – ধান; আগাছার নাম - বড় শ্যামা, পানি কচু, হলদে মুথা, চেচড়া; অনুমোদিত প্রয়োগ মাত্রাঃ হেক্টর প্রতি ২ লিটার। ফসল – আলু, আগাছার নাম - খুদে শ্যামা, দুর্বা, মুথা, লজ্জাবতী, বথুয়া; অনুমোদিত প্রয়োগ মাত্রাঃ হেক্টর প্রতি ২ লিটার। বিকোপেন্ডি ৩৩ ইসি নির্ধারিত মাত্রায় সমস্ত ক্ষেত ভিজিয়ে স্প্রে করুন।
সাবধানতাঃ বিকোপেন্ডি ৩৩ ইসি এর স্বাদ ও গন্ধ নেওয়া বা শরীরে লাগানো নিষেধ। ব্যবহারের সময় পানাহার ও ধূমপান করা নিষেধ। খালি গায়ে ও বাতাসের বিপরীতে স্প্রে করবেন না। খালি হাতে মিশাবেন না, হাতে ক্লিনিক্যাল হাত মোজা ব্যবহার করুন। ব্যবহারের পর খালি বোতল নষ্ট করে মাটিতে পুঁতে ফেলুন। ইহা প্রয়োগের ০৭–১৪ দিনের মধ্যে ক্ষেতের ফসল খাওয়া / বিক্রয়ের জন্য তুলবেন না। বালাইনাশক মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার মানব স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। বিষক্রিয়ার লক্ষণঃ অস্থিরতা, বমি বমি ভাব এবং কখনো কখনো চোখ ও ত্বক জ্বালা করতে পারে। প্রাথমিক চিকিৎসাঃ বিষক্রিয়ার লক্ষণ দেখা দিলে ছত্রাকনাশক নিয়ে কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। শরীরে লাগলে সত্ত্বর পরিধেয় বস্ত্রাদি বদলে ফেলে আক্রান্ত স্থান সাবান ও প্রচুর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চোখে লাগলে চোখ খোলা রেখে ১০–১৫ মিনিট পরিস্কার পানির ঝাপটা দিন। ভুল ক্রমে কেউ খেয়ে ফেললে সচেতন অবস্থায় গলায় আঙ্গুল দিয়ে বমি করানোর চেষ্টা করুন। অচেতন রোগীকে বমি করাবেন না। অতি সত্ত্বর মোড়কসহ ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। গুদামজাতকরণঃ এর বোতল খাদ্য দ্রব্যাদি হতে দূরে সুনির্মিত ও বায়ু প্রবাহিত প্রশস্থ ঘরে তালাবদ্ধ আলমারিতে সংরক্ষণ করুন। প্রতিষেধকঃ নির্দিষ্ট কোন প্রতিষেধক নেই। ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা করুন।